গীতিকা সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন।
- আখ্যানমূলক লােকগীতি বাংলা সাহিত্যে গীতিকা’ নামে পরিচিত।
- ‘গীতিকা’-কে ইংরেজিতে বলা হয় Ballad, যা ফরাসি Ballet বা নৃত্য শব্দ থেকে এসেছে।
- মৈমনসিংহ গীতিকা ২৩টি ভাষায় অনূদিত হয়।
- Ode হলাে বিশেষ গাথা কবিতা, যা অনিয়মিত ছন্দে রচিত।
- ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে মৈমনসিংহ গীতিকা‘ নামে সংকলনটি প্রকাশিত হয়।
- মহুয়া’ পালাটির রচয়িতা দ্বিজ কানাই এবং ‘দেওয়ানা মদিনা’ পালাটির রচয়িতা মনসুর বয়াতি।
- ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে প্রথমবার স্যার জর্জ গ্ৰীয়ারসন রংপুর থেকে সংগৃহীত একটি গীতিকা ‘মাণিকচন্দ্র রাজার গান’ নাম দিয়ে এশিয়াটিক সােসাইটির জার্নালে প্রকাশ করেন।
- ময়মনসিংহ গীতিকার অন্তর্গত গীতিকাগুলাে হচ্ছে- মহুয়া, মলুয়া, চন্দ্রাবতী, কমলা, দেওয়ান ভাবনা, দেওয়ানা মদিনা, দস্যু কেনারামের পালা, রূপবতী, কঙ্ক ও লীলা এবং কাজল রেখা।
- পূর্ববঙ্গের গীতিকাগুলাে হল- নিজাম ডাকাতের পালা, কাফন চোরা, চৌধুরীর লড়াই, ভেলুয়া ইত্যাদি।
- ড. দীনেশচন্দ্র সেনের উদ্যোগে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ময়মনসিংহ গীতিকা’ ও ‘পূর্ববঙ্গ গীতিকা’ নামে চার খণ্ডে প্রকাশিত হয়।
- গীতিকাগুলাের সংগ্রাহকের কাজ করেন- চন্দ্রকুমার দে, জসীমউদ্দীন, আশুতােষ চৌধুরী, বিহারীলাল সরকার, নগেন্দ্রচন্দ্র দে, মনােরঞ্জন চৌধুরী।