বাংলা সংবাদপত্র || বাংলা সাহিত্য || বিসিএস প্রিলিমিনারী প্রস্তুতি
প্রশ্ন : ভারতবর্ষের প্রথম সংবাদপত্র
উত্তর : বেঙ্গল গেজেট (ইংরেজি ভাষায়)।
প্রশ্ন : ‘বেঙ্গল গেজেট’র সম্পাদক ও প্রকাশকাল
উত্তর : জেমস অগাস্টাস হিকি; ১৭৮০ সাল।
প্রশ্ন : বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম পত্রিকা
উত্তর : দিগ্দর্শন (শ্রীরামপুর মিশনারি থেকে ১৮১৮ সালে প্রকাশিত)।
প্রশ্ন : ‘দিগদর্শন’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন
উত্তর : জন ক্লার্ক মার্শম্যান ।
প্রশ্ন : জে.সি. মার্শম্যানের সম্পাদনায় ‘সমাচার দর্পণ’ (সাপ্তাহিক) প্রকাশিত হয়
উত্তর : ১৮১৮ সালে।
প্রশ্ন : বাঙালি কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত প্রথম পত্রিকা
উত্তর : বাঙ্গাল গেজেট।
প্রশ্ন : ‘বাঙ্গাল গেজেট’র সম্পাদক ও প্রকাশকাল
উত্তর : গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য; ১৮১৮ সাল।
প্রশ্ন : বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম দৈনিক পত্রিকা
উত্তর : সংবাদ প্রভাকর (ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় ১৪ই জুন ১৮৩৯)।
প্রশ্ন : বাংলা ভাষার প্রথম সচিত্র মাসিক পত্রিকা
উত্তর : বিবিধার্থ সংগ্রহ (রাজেন্দ্রলাল মিত্রের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় ১৮৫১ সালে)।
প্রশ্ন : ঢাকা থেকে প্রকাশিত প্রথম সাপ্তাহিক পত্রিকা
উত্তর : ঢাকা প্রকাশ। [হরিশ্চন্দ্র মিত্রের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় ১৮৬৩]
প্রশ্ন : বাংলা সাহিত্যে চলিতরীতির মুখপত্র পত্রিকা
উত্তর : সবুজপত্র (প্রমথ চৌধুরীর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় ১৯১৪ সালে)।
প্রশ্ন : ‘ঠাকুরবাড়ি’ কেন্দ্রিক লেখক দ্বারা প্রকাশিত পত্রিকা
উত্তর : সাধনা।
প্রশ্ন : কাজী নজরুল ইসলামের প্রতিষ্ঠা ও বিকাশে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে যে পত্রিকা
উত্তর : মোসলেম ভারত।
প্রশ্ন : উদার, বিজ্ঞানমনস্ক ও দেশসচেতন পত্রিকা হিসেবে পরিচিত
উত্তর : তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা।
প্রশ্ন : বঙ্কিমচন্দ্রের মৃত্যুর পর ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকা সম্পাদনা করেন
উত্তর : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
প্রশ্ন : মুসলিম সাহিত্য সমাজ’র মুখপত্র
উত্তর : শিখা।
প্রশ্ন : পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে সবচেয়ে প্রভাবশালী পত্রিকা
উত্তর : সমকাল ।
প্রশ্ন : বিশ শতকের ষাটের দশকে সাড়া জাগানো লিটন ম্যাগাজিন
উত্তর : স্বাক্ষর, কণ্ঠস্বর।
প্রশ্ন : স্বাধীন পূর্ববাংলার প্রথম সাহিত্যপত্র
উত্তর : নয়া সড়ক ।
প্রশ্ন : পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালি কবিদের প্রথম সংকলন
উত্তর : নতুন কবিতা।
প্রশ্ন : ভারতীয় জাতীয় জাগরণের লক্ষ্যে রামমোহন রায়ের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রকাশিত পত্রিকা
উত্তর : সম্বাদ কৌমুদী।
প্রশ্ন : সংস্কারবাদী ‘সম্বাদ কৌমুদী পত্রিকার বিপরীতে রক্ষণশীলদের দ্বারা প্রকাশিত পত্রিকা
উত্তর : সমাচার চন্দ্রিকা।
প্রশ্ন : মুসলমান সম্পাদিত প্রথম সংবাদপত্র
উত্তর : সমাচার সভারাজেন্দ্র।
প্রশ্ন : বাংলার মফস্বল থেকে প্রকাশিত প্রথম সংবাদপত্র
উত্তর : গ্রামবার্তা প্রকাশিকা
প্রশ্ন : কাজী নজরুল ইসলামের ‘আনন্দময়ীর আগমনে’ কবিতার জন্য ব্রিটিশ সরকার কবিতার পাশাপাশি যে পত্রিকা নিষিদ্ধ করে
উত্তর : ধূমকেতু।
প্রশ্ন : রবীন্দ্র-রোমান্টিক সাহিত্যের বিরুদ্ধধারা সৃষ্টিতে যে পত্রিকার ভূমিকা ছিল
উত্তর : কল্লোল।
প্রশ্ন : প্রথম বিশ্বযুদ্ধোত্তর চেতনা ও ইউরোপীয় সাহিত্যের প্রভাব যে পত্রিকার লেখকদের ওপর কার্যকর ছিল
উত্তর : কল্লোল।
প্রশ্ন : বাংলাদেশের প্রগতিশীল আন্দোলনের প্রথম পর্যায়ের পত্রিকা
উত্তর : ক্রান্তি।
প্রশ্ন : উর্দুভাষা বাংলার ওপর চাপিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে প্রকাশিত পত্রিকা
উত্তর : অগত্যা ।
প্রশ্ন : নীলকর অত্যাচার, খাজনা আদায়ে বাড়াবাড়ি ইত্যাদির বিরুদ্ধে প্রতিবাদী পত্রিকা
উত্তর : গ্রামবার্তা প্রকাশিকা।
প্রশ্ন : বাংলা গদ্যের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যে পত্রিকা
উত্তর : মাসিক পত্রিকা (১৮৫৪)।
প্রশ্ন : যে পত্রিকার মাধ্যমে রবীন্দ্রযুগের সূত্রপাত হয়
উত্তর : ভারতী (১৮৭৭)।
প্রশ্ন : শরৎচন্দ্রের আত্মপ্রকাশে যে পত্রিকার অবদান গুরুত্বপূর্ণ
উত্তর : ভারতবর্ষ (১৯১৩)।
প্রশ্ন : ‘ভোগবিলাস সুখাভিলাষী নিদ্রিত বঙ্গীয় মুসলমানদের পূর্বপুরুষদের ‘অতীত গৌরব ও ধর্মভক্তি কাহিনি এবং পবিত্র ধর্মের
পবিত্র রীতিনীতি’ অবহিত করার জন্য যে পত্রিকার প্রকাশ
উত্তর : হাফেজ (১৮৯৭)।
প্রশ্ন : হিন্দু-মুসলমান সম্প্রীতি, জাতীয় উন্নতি ও মাতৃভাষার সেবা করে প্রকাশিত পত্রিকা
উত্তর : কোহিনুর (১৮৯৮)।
প্রশ্ন : তৎকালীন মুসলমান সম্পাদিত সবচেয়ে উন্নত মাসিক পত্রিকা
উত্তর : নবনূর (১৯০৩)।
প্রশ্ন : রংপুরের কাকিনা থেকে প্রকাশিত পত্রিকা
উত্তর : বাসনা (১৯০৮)।
প্রশ্ন : সাহিত্যক্ষেত্রে মুসলমানদের স্বাতন্ত্র্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা প্রকাশিত হয়েছিল যে পত্রিকার মাধ্যমে
উত্তর : আল-এসলাম (১৯১৫)।
বেঙ্গল গেজেট
বাংলাদেশ তথা ভারতবর্ষের প্রথম মুদ্রিত সংবাদপত্র ‘বেঙ্গল গেজেট। জেমস অগাস্টাস হিকি সম্পাদিত ‘বেঙ্গল গেজেট’ ১৭৮০ খ্রিষ্টাব্দের ২৯শে জানুয়ারি কলকাতা থেকে প্রকাশিত হয়। হিকি ছিলেন নির্ভীক সাংবাদিক। তিনি বারবার ফোর্ট উইলিয়ামসের শাসনকর্তাদের দুর্নীতি, অযোগ্য শাসন ও Warren Hastings এবং কোম্পানি অফিসারদের নির্যাতনমূলক আচরণ জনসমক্ষে তুলে ধরেন। যার কারণে ব্রিটিশ সরকার তাঁকে মামলায় ফাঁসিয়ে আটক করে ১৭৮২ খ্রিষ্টাব্দে ছাপাখানা বিক্রি করে দেন। যার ফলে ভারতবর্ষের প্রথম মুদ্রিত সংবাদপত্রের অপমৃত্যু ঘটে।
দিগ্দর্শন
শ্রীরামপুরের ব্যাপ্টিস্ট মিশনারিরা বাংলা সংবাদপত্র সাময়িকপত্র প্রকাশের প্রথম উদ্যোগকারী। জন ক্লার্ক মার্শম্যানের সম্পাদনায় ১৮১৮ সালে প্রকাশিত হয় প্রথম বাংলা সাময়িকপত্র ‘দিগ্দর্শন‘। সংবাদ অপেক্ষা ধর্মীয় নীতিকথা ও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তথ্য পরিবেশনই এখানে প্রাধান্য পেতো। ২৬ টি সংখ্যা প্রকাশের পর ১৮২১ সালে পত্রিকাটি বন্ধ হয়ে যায়।
কল্লোল
১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দে আধুনিক কল্লোল সমগ্র বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রগতিশীল পত্রিকা। লেখকদের সাহিত্যিক মুখপত্র হিসেবে কলকাতা থেকে মাসিক ‘কল্লোল’ প্রকাশিত হয়। এর সম্পাদক ছিলেন দীনেশরঞ্জন দাশ। রবীন্দ্র-রোমান্টিক সাহিত্যের বিরুদ্ধধারা হিসেবে আধুনিক সাহিত্যের সূচনার ক্ষেত্রে এ পত্রিকার ভূমিকা অনস্বীকার্য। সাত বছর এ পত্রিকা টিকে ছিল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধোত্তর চেতনা, ইউরোপীয় সাহিত্যের প্রভাব এ পত্রিকার লেখকদের ওপর কার্যকর ছিল। অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত, শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়, বুদ্ধদেব বসু, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রেমেন্দ্র মিত্র প্রমুখ ছিলেন এ পত্রিকার নিয়মিত লেখক। পত্রিকাটি কল্লোল লেখকগোষ্ঠী গড়ে তুলতে সক্ষম হয়। পরবর্তী তরুণ লেখকদের ওপর এ পত্রিকা ও গোষ্ঠীর প্রভাব কম ছিল না।
সংবাদ প্রভাকর
‘সংবাদ প্রভাকর’ সাপ্তাহিক সংবাদপত্র হিসেবে ১৮৩১ খ্রিষ্টাব্দের ২৮শে জানুয়ারি (১৬ই মাঘ ১২৩৭) কলকাতা থেকে প্রকাশিত হয়। কবি ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত ছিলেন এর সম্পাদক, তাঁর সহকারী ছিলেন পাথুরিয়াঘাটার যোগেন্দ্রমোহন ঠাকুর। পত্রিকাটির স্বভাব এমন : স্বদেশি আন্দোলনের সমর্থক, পাশ্চাত্যমুখী বাবুকালচার বিরোধী, নারী স্বাধীনতার পক্ষে নয়। এ পত্রিকাই ১৮৩৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ই জুন ‘দৈনিক সংবাদপত্র’ হিসেবে প্রকাশিত হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করে। ১৮৫৩ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিল মাস থেকে এ পত্রিকা পৃথক একটি মাসিক সংকলন প্রকাশ করে।
তত্ত্ববোধিনী
উদার, বিজ্ঞানমনস্ক ও দেশসচেতন পত্রিকা হিসেবে পরিচিত ‘তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা’। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর পত্রিকাটির প্রতিষ্ঠাতা এবং অক্ষয়কুমার দত্ত ছিলেন এর সম্পাদক। ১৮৩৯ খ্রিষ্টাব্দের ৬ই অক্টোবর প্রতিষ্ঠিত ‘তত্ত্ববোধিনী সভা’-এর মুখপত্র হিসেবে প্রকাশিত হলেও বাংলা সাহিত্যে পত্রিকাটির পরোক্ষ প্রভাবই মুখ্য হয়ে উঠেছিল। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, রাজনারায়ণ বসু তাহ প্রমুখ সে আমনের শ্রেষ্ঠ গদ্যলেখকরা এ পত্রিকার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। অসুস্থতার জন্য সম্পাদক পদ থেকে অক্ষয়কুমার অবসর নিলে (১৮৫৫) পত্রিকার সম্পাদক হন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। অক্ষয়কুমারের সম্পাদনাকাল (১২ বছর) পত্রিকার স্বর্ণযুগ হিসেবে বিবেচিত ছিল। বিজ্ঞান ও নীতিবিষয়ক আলোচনাই তত্ত্ববোধিনীকে শীর্ষস্থানীয় পত্রিকার মর্যাদা দান করে।
বঙ্গদর্শন
সাময়িকপত্রের ইতিহাসে এক নতুন যুগ সৃষ্টির সম্ভাবনা নিয়ে ১৮৭২ খ্রিষ্টাব্দে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সম্পাদনায় মাসিক ‘বঙ্গদর্শন’ প্রকাশিত হয়। এ পত্রিকার মাধ্যমে বাংলা গদ্যের প্রভূত উন্নতি সাধনের লক্ষ্যে বঙ্কিমচন্দ্র একটি শক্তিশালী লেখকগোষ্ঠী গড়ে তোলেন। বঙ্কিমচন্দ্রের মৃত্যুর পর রবীন্দ্রনাথ ‘বঙ্গদর্শন’ সম্পাদনা করেন। সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, চন্দ্রনাথ বসু, রাজকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়, চন্দ্রশেখর মুখোপাধ্যায় প্রমুখ বঙ্গদর্শনের লেখক হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন। অনেক দিন বিরতির পর পত্রিকাটি এখন প্রকাশ করছেন পশ্চিমবঙ্গের ২৪ পরগনা জেলার নৈহাটি থেকে ‘বঙ্কিমচন্দ্র রিসার্চ সেন্টার’ কর্তৃপক্ষ। পত্রিকাটি বিভিন্নজন সম্পাদনা করছেন।
সবুজপত্র
প্রমথ চৌধুরীর সম্পাদনায় ১৯১৪ খ্রিষ্টাব্দে মাসিক ‘সবুজপত্র’ প্রকাশিত হয়। প্রমথ চৌধুরী বীরবলী রীতি নামে যে মৌখিক ভাষারীতি সাহিত্যে প্রচলন করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন ভার প্রচার মাধ্যম ছিল এ পত্রিকাটি। রবীন্দ্রনাথ নিজেও এ পত্রিকায় লেখার সুবাদে চলিত গদ্যরীতির স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করেন এবং পরে তা চর্চা করেন। সবুজপত্রকে ঘিরে একটি সাহিত্যিক গোষ্ঠী ও তখন তৈরি হয়েছিল। ইন্দিরা দেবী চৌধুরাণী, অতুলচন্দ্র গুপ্ত, ধূর্জটিপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ সবুজপত্রে লিখতেন।
ধূমকেতু
অর্ধ-সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘ধূমকেতু’ ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দে কাজী নজরুল ইসলামের সম্পাদনায় কলকাতা থেকে প্রকাশিত হয়। ধূমকেতুর উদ্দেশ্য সম্পর্কে ব্লা হয়েছে : ‘… এ দেশের নাড়ীতে নাড়ীতে অস্থি মজ্জায় যে পচন ধরেছে তা একেবারে ধ্বংস না হলে নতুন জাত গড়ে উঠবে না। …দেশের যারা শত্রু, দেশের যা কিছু মিথ্যা, ভণ্ডামী, মেকি তা সব দূর করতে ‘ধূমকেতু’ হবে আগুনের সম্মার্জনী।’ ব্রিটিশবিরোধী রচনা এখানে ছাপা হতো। নজরুলের কবিতা ‘আনন্দময়ীর আগমনে’ এ পত্রিকায় প্রকাশিত হলে কবিতা ও পত্রিকা উভয়ই ব্রিটিশ সরকার নিষিদ্ধ করে। এজন্য নজরুলকে এক বছর কারাবাসও করতে হয়। রবীন্দ্রনাথ পত্রিকার সাফল্য কামনা করে লেখেন : “আয় চলে আয়, রে ধূমকেতু/আঁধারে বাঁধ অগ্নিসেতু/দুর্দিনের এই দুর্গশিরে/উড়িয়ে দে তোর বিজয়কেতন।’
কবিতা
‘কবিতা’ পত্রিকাটি ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দে (আশ্বিন ১৩৪২) প্রথম প্রকাশ পায় এবং ১৯৬১ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত চলে। ‘কবিতা’ পত্রিকার সূচনাপর্বে সম্পাদনাসূত্রে বুদ্ধদেব বসু, প্রেমেন্দ্র মিত্র, সমর সেন জড়িত থাকলেও পরবর্তীতে দীর্ঘকাল ধরে বুদ্ধদেব বসুই ‘কবিতা’ পত্রিকা সম্পাদনা করেন। আধুনিক এমন কোনো উল্লেখযোগ্য বাঙালি কবি নেই, যিনি ‘কবিতা’ পত্রিকায় লেনেনি। শুধু কবিতা ও কবিতাবিষয়ক গদ্য ছাপানোই ছিল এ পত্রিকার অন্যতম বৈশিষ্ট্য ।
শিখা
১৯শে জানুয়ারি ১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হয় সাহিত্য সমাজ’। পরে সংগঠনটির নামকরণ হয় ‘মুসলিম সাহিত্য সমাজ’। এ প্রতিষ্ঠানের স্লোগান ছিল : ‘জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।’ জ্ঞানের শিখা জ্বালানোর জন্য সংগঠনটি ১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দে ‘শিখা’ নামে একটি বার্ষিক মুখপত্র প্রকাশ করে। প্রথম বর্ষের সম্পাদক হন আবুল হুসেন। পরপর পাঁচ বছর ‘শিখা’ প্রকাশিত হয় এবং কাজী মোতাহার হোসেন, মোহাম্মদ আব্দুর রশীদ, আবুল ফজল প্রমুখ এর সম্পাদক ছিলেন। এ পত্রিকার উদ্দেশ্য সম্পর্কে লেখা হয় “বর্তমান মুসলমান সমাজের জীবন ও চিন্তাধারার গভির পরিবর্তন সাধন।’ বাংলা সাহিত্যের আধুনিক যুগে মুসলমানদের অনগ্রসরতা দূরীকরণে এ পত্রিকার ভূমিকা অনবদ্য।
সমকাল
‘সমকাল’ সিকান্দার আবু জাফর সম্পাদিত একটি মাসিক সাহিত্যপত্র, যা ১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা থেকে প্রকাশিত হয়। পত্রিকাটির সহকারী সম্পাদক ছিলেন হাসান হাফিজুর রহমান। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান অর্থাৎ আজকের বাংলাদেশের আধুনিক সাহিত্যের বীজতলা নির্মাণে পত্রিকাটির ভূমিকা অনস্বীকার্য। পঞ্চাশ ও ষাটের দশকের বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য লেখকদের মধ্যে এমন কেউ নেই যিনি ‘সমকালে’ লেখেননি। ‘সমকালে’ লেখা ছিল গর্বের। সম্পাদক সিকান্দার আবু জাফর একজন সংগঠকের মতো বাংলাদেশের বাঙালি লেখকদের বিনির্মাণে ‘সমকাল’ পত্রিকা নিয়ে এগিয়ে এসেছিলেন।
আরো পড়ুন :
অনুচ্ছেদ রচনা | |
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী | |
ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য | |
ইসলাম ধর্ম | |
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি | |
এইচএসসি | |
এসএসসি | |
ওয়েব ডিজাইন | |
কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি | |
কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স | |
গ্রন্থ-সমালোচনা | |
চাকরি-বাকরি | |
জীবনযাপন | |
জীববিজ্ঞান | |
জেলা পরিচিতি | |
টিপস | |
দেশ পরিচিতি | |
তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি | |
নৈতিকতা মূল্যবোধ ও সুশাসন | |
পদার্থ বিজ্ঞান | |
পিডিএফ ডাউনলোড | |
পৌরনীতি ও নাগরিকতা | |
প্রতিষ্ঠান পরিচিতি | |
প্রবন্ধ আলোচনা | |
প্রশ্ন সমাধান | |
ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং | |
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য | |
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি | |
বাংলা রচনা সম্ভার | |
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় | |
বাংলাদেশ বিষয়াবলী | |
বিসিএস প্রস্তুতি | |
ভাইভা প্রস্তুতি | |
ভাবসম্প্রসারণ | |
ভূগোল পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা | |
লেখক পরিচিতি | |
সাধারণ জ্ঞান | |
সাধারন বিজ্ঞান | |
সামাজিক বিজ্ঞান | |
স্বাস্থ্য টিপস |
সংবাদপত্র | প্রকাশকাল | সম্পাদক |
সমাচার দর্পণ | ১৮১৮ | জন ক্লার্ক মার্শম্যান |
ব্রাহ্মণসেবধি | ১৮২১ | রামমোহন রায় |
বিবিধার্থ সংগ্রহ | ১৮৫১ | রাজেন্দ্রলাল মিত্র |
তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা | ১৮৪৩ | অক্ষয়কুমার দত্ত |
সম্বাদ কৌমুদী | ১৮২১ | ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় |
সমাচার সভারাজেন্দ্র | ১৮৩১ | শেখ আলিমুল্লাহ |
সোমপ্রকাশ | ১৮৫৮ | দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ |
বঙ্গদূত | ১৮২৯ | নীলমণি হালদার |
জ্ঞানান্বেষণ | ১৮৩১ | দক্ষিণারঞ্জন মুখোপাধ্যায় |
সমাচার চন্দ্রিকা | ১৮২২ | ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় (ছদ্মনাম : শিবপ্রসাদ রায় ) |
বেঙ্গল গেজেট (সাপ্তাহিক) | ১৮১৮ | গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য ও হরচন্দ্র রায় |
মাসিক পত্রিকা | ১৮৫৪ | প্যারীচাঁদ মিত্র ও রাধানাথ শিকদার |
বিদ্যোৎসাহিনী পত্রিকা | ১৮৫৫ | কালীপ্রসন্ন সিংহ |
সংবাদ প্রভাকর | ১৮৩১ | ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত |
বিচারক | ১৮৫৮ | কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্য |
কবিতাকুসুমাবলী | ১৮৬০ | কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার |
নবব্যবহার সংহিতা | ১৮৬০ | রামচন্দ্র ভৌমিক |
বিজ্ঞান কৌমুদী | ১৮৬০ | জগমোহন তর্কালঙ্কার |
অবকাশরঞ্জিকা | ১৮৬২ | হরিশ্চন্দ্র মিত্র |