প্রিলিমিনারি প্রস্তুতির আগে যে কাজগুলো অবশ্যই করবেন সেই বিষয় নিয়ে আজকে আলোচনা করছি।যারা বিসিএস পরীক্ষার্থী আছেন আশা করছি তাদের উপকারে আসবে।
বিসিএস রিটেন পরীক্ষার জন্য এক সেট রিটেন পরীক্ষার বই কিনে ফেলুন । মনে রাখবেন এটা একটি শক্তিশালী প্রস্তুতি কৌশল । প্রিলির আগে রিটেনের বই কিনা অর্থের অপচয় নয় । বরং এটি বুদ্ধিদীপ্ত ইনভেস্টমেন্ট । প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর ফাইনাল রেজাল্টে যোগ হয় না । এটা শুধুমাত্র প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষা । কিন্তু রিটেনের পুরো মার্কসই মূল মেধা তালিকা নির্ণয়ে যোগ করা হয় ।
তাই মেধাতালিকায় আপনার থাকা ৯০ % নির্ভর করে আপনি ঠিক কত শতাংশ নম্বর পেয়ে রিটেনে উত্তীর্ণ হলেন তার উপর । রিটেনের সিলেবাসের প্রায় ৬০-৭০ ভাগ টপিক প্রিলিমিনারিতে আছে । আপনাকে অবশ্যই প্রিলিমিনারি প্রস্তুতি নেওয়ার সময় রিটেনের অর্ধেক প্রস্তুতি সেরে ফেলতে হবে । তাছাড়া প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর রিটেন প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য মাত্র ২-৩ মাস সময় থাকে ।
এই সময়ের মধ্যে রিটেনের বিশাল সিলেবাসের উপর ভালো প্রস্তুতি নেওয়া কোন ভাবেই সম্ভব নয় । তাই প্রিলিমিনারির প্রস্তুতি নেওয়ার সময় রিটেনের ৫০ % টপিকের উপর প্রস্তুতি নিয়ে ফেলুন । অন্যথায় খুব পিছিয়ে থাকবেন ।
দুই মাসে ১৫০০ তথ্য ভাসা ভাসা পড়ার চেয়ে দুই মাসে ৫০০ প্রশ্ন ভালো করে পড়া বুদ্ধিমানের কাজ । ভাসা ভাসা মনে থাকা তথ্য পরীক্ষায় কনফিউশন সৃষ্টি করবে । কনফিউশন দূর করতে চাই ৫-৭ বার পঠিত টপিকের রিভিশন । প্রিলিমিনারিতে গুরুত্বপূর্ণ টপিকের উপর রিভিশন দেওয়া টনিকের ( Tonic ) মতো কাজ করে । পরীক্ষা শেষে দেখবেন , আপনি হয়তো ২০০ টি প্রশ্নের মধ্যে ১৪০ টি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন ।
বাকীগুলো কনফিউশন সৃষ্টি করেছে বলে ছেড়ে দিয়েছেন । এতে আপনার কোয়ালিফাই করার সম্ভাবনা বেশি ।২৮ তম প্রিলিতে পাশ করা একজন বলেছেন- মাত্র ৫৪ টি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে ১ টি প্রশ্ন ভুল করায় ৫২.৫ স্কোর করে পাশ করেছিলাম ।
আমার এক কলিগ কনফিউশন নিয়ে ৯০ টি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে ২৬ টির ভুল উত্তর দেওয়ায় তার স্কোর আমার চেয়ে কম হওয়ায় তিনি কোয়ালিফাই করতে পারেননি। প্রিলিমিনারিতে তাই প্রশ্নোত্তর পরিষ্কার করে জানা থাকলেই তবে উত্তর করা উচিৎ ।