দেশে মাছের তালিকায় নতুন ১৮ প্রজাতি যুক্ত হয়। দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলীয় অঞ্চল সেন্টমার্টিন ও আশপাশের এলাকায় এসব প্রজাতির সন্ধান পান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। ২০১৮-২০২০ সাল পর্যন্ত তিন ধাপে গবেষণা চালিয়ে মাছের নতুন প্রজাতিগুলাে শনাক্ত করা হয়।
এই গবেষণার ফলাফল পৃথক তিনটি আন্তর্জাতিক ও প্রকাশনা সংস্থার ওয়েব সাইটে প্রকাশিত হয়েছে। সেন্টমার্টিনের আশপাশের জেলে ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে গবেষকরা নতুন এ ছয় প্রজাতির বাংলা নাম বের করেন। বাকি প্রজাতির স্থানীয় নাম বের করার কাজ এখনাে চলমান। অবশ্য সবকটিরই বৈজ্ঞানিক নাম রয়েছে। নাম পাওয়া ছয় প্রজাতি হলাে—
- ডােরাকাটা ব্যাঙ মাছ (Allenbatrachus reticulatus)
- পাথুরে বেলে (Bathygobius coalitus)
- নুন্যা বাটা (Crenimugil crenilabis)
- খরগােশ মাছ (Siganus sutor)
- উড়ুক্কু মাছ। (Cheilopogon spilonotopterus)
- থুতনি কাঁটা, চান্দা। (Deveximentum megalolepis)
ফিরে আসছে ৮ দেশি মাছ
দেশে মিঠাপানির ২৬০ প্রজাতির মাছের মধ্যে ছােট মাছ ১৪৩ প্রজাতির। এরমধ্যে ৬৪ প্রজাতির মাছ ছিল বিলুপ্তপ্রায়। কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (BFRI) বিলুপ্তপ্রায় এসব মাছ ফিরিয়ে আনছে।
এই বিভাগ থেকে আরো পড়ুন
- বৈদ্যুতিক গাড়ির যুগে বাংলাদেশ
- বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে চুক্তি
- দেশের প্রথম স্পেশালাইজড হাসপাতাল
- কৃষকের সুরক্ষায় কিষানি ড্রোন
- দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কর্মপরিকল্পনা
- বাংলাদেশের নারী শিক্ষায় মালালা ফান্ড
- জাতীয় কৃষি কাউন্সিল গঠন
- ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য রপ্তানি শুরু
- বিশ্বে প্রথম দ্বৈত টিকার অনুমােদন
- যুক্তরাজ্যে নতুন বাণিজ্যনীতি
এরই মধ্যে বিলুপ্তপ্রায় ৬৪ প্রজাতির দেশি মাছের মধ্যে ৩১ প্রজাতির মাছের সফল প্রজনন সম্পন্ন হয়েছে। ফেরার অপেক্ষায় পুষ্টিগুণ সম্পন্ন আরও অন্তত আট প্রজাতির দেশি মাছ। আট প্রজাতির দেশি মাছ ফেরানাে সম্ভব হলে এ সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে ৩৯-এ। এ আট প্রজাতির মাছ- কাজলি, কুর্শা, গাঙ টেংরা, বাইলা, জারুয়া, বােল, আঙরা ও ঘারুয়া । এর মধ্যে জারুয়া, বােল, আঙরা ও কুর্শা মূলত তিস্তা নদীর মাছ।