ন্যানো টেকনোলজি কী? নিম্ন তাপমাত্রার চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর।

Preparation BD
By -
0

আসিফ আমেরিকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনার সুযোগ পায়। কিন্তু আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে আমেরিকাতে যাওয়া সম্ভব হয়নি। অতঃপর বাংলাদেশে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী অর্জন করল। আসিফ পড়াশুনার ফাঁকে ফাঁকে অনলাইনে কাজ করে অর্থ উপার্জন করে। ফলে তার পারিবারিক অবস্থার উন্নতি হয়। তার বন্ধু মনির নতুন জাতের টমেটো চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়।

ক. ন্যানো টেকনোলজি কী?
খ. নিম্ন তাপমাত্রার চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর।
গ. আসিফের বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী অর্জন কীভাবে সম্ভব হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের আলোকে আসিফ ও মনির এর আর্থিক স্বচ্ছলতার কারণ তুলনামূলক বিশ্লেষণপূর্বক তোমার মতামত দাও : 8

ক. নানো প্রযুক্তি হলো পারমাণবিক বা আণবিক স্কেলে অতিক্ষুদ্র ডিভাইস তৈরি করার জন্য ধাতব ও বস্তুকে সুনিপুণভাবে কাজে নাগালের বিজ্ঞান।

খ. নিম্ন তাপমাত্রায় চিকিৎসা পদ্ধতি হচ্ছে ক্রায়োসার্জারি। ক্রায়োসার্জারী হলো এমন এক ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি যা অত্যাধিক শীতল তাপমাত্রা প্রয়োগ করে ত্বকের অস্বাভাবিক এবং রোগাক্রান্ত টিস্যুগুলোকে ধ্বংস করা হয়।

ক্রায়োসার্জারীতে অস্বাভাবিক টিস্যু ধ্বংস করতে নাইট্রোজেন গ্যাস বা আর্গন গ্যাস হতে উৎপাদিত চরম ঠান্ডা বাহ্যিক ত্বকের চামড়ার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। সাধারণত টিউমারের ক্ষেত্রে – ২০ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা ব্যবহার করা হয় এবং ক্যান্সার এর ক্ষেত্রে ৪০ থেকে ৫০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা প্রয়োগ করা হয়।

আরো পড়ুন: ন্যানোটেকনোলজি কী? “তথ্য প্রযুক্তি ও যোগাযোগ প্রযুক্তি একে অপরের পরিপূরক”– বুঝিয়ে লেখ ।

গ. বিশ্বগ্রামের অন্তর্গত ই-লার্নিং এর মাধ্যমে আসিফের বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী অর্জন সম্ভব হয়েছে।

গ্লোবাল ভিলেজ শিক্ষাক্ষেত্রে এনে দিয়েছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। তাছাড়া তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে পৃথিবীর দূর দূরান্তে বসে শিক্ষার্থীরা ই-লাইব্রেরি, ভার্চুয়াল ক্যাম্পাস ইত্যাদি ব্যবহারের মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছে ।

আসিফ অনলাইনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্স এ অংশগ্রহণ করে, অনলাইনেই উক্ত কোর্সটির পরীক্ষা দিয়ে প্রয়োজনীয় ক্রেডিট অর্জন করেছে। কারণ এখন অনেক বিশ্ববিদ্যালয় তাদের প্রশ্নপত্র অনলাইনে প্রকাশ করে এবং পরীক্ষার পর উত্তর পত্র মূল্যায়ন করে অনলাইনেই ফলাফল প্রকাশ করে। ফলে নানা দেশের শিক্ষার্থীরা উক্ত কোর্সে অংশগ্রহণ করতে পারছে। অর্থাৎ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কারণে আসিফ অনলাইনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী অর্জন করতে পারছে।

ঘ. উদ্দীপকে আসিফের আর্থিক স্বচ্ছলতার কারণ হচ্ছে আউটসোর্সিং এবং মনিরের আর্থিক স্বচ্ছলতার কারণ হচ্ছে DNA প্রযুক্তি ব্যবহার করে উন্নত জাতের টমেটো উৎপাদন করা। নিচে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করা হলো- বর্তমানে বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ তাদের বিভিন্ন কাজ ওয়েবসাইটে দেয় যাতে অন্য কেউ সেই কাজ করে জমা দিতে পারে। সাধারণত দরিদ্র দেশের নাগরিকরা সেই কাজ ঘরে বসে করে তা অনলাইনে জমা দেয় এবং বিনিময়ে বৈদেশিক অর্থ আয় করে যা দেশ ও জাতির জন্য অনেক বড় উপকার। উক্ত কাজকে আউটসোর্সিং বলে। আসিফ উক্ত আউটসোর্সিং এর কাজ করছে। ফলে তার পারিবারিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে।

অন্যদিকে মনির এর আর্থিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে উন্নত জাতের টমেটো চাষ করার কারণে। বর্তমানে DNA প্রযুক্তির কারণে কোনো বস্তুর অন্তর্গত জিনকে কোনো জীবকোষে প্রবেশ করিয়ে বা কোষ হতে সরিয়ে উক্ত জীবটির বৈশিষ্ট্যের বংশগতি বদলে নতুন উন্নত জাতের বস্তু সৃষ্টি করা হচ্ছে। (একেই জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বলে) যা সারাবছরই চাষ করা যায়। মনিরের উন্নত জাতের টমেটো এই DNA প্রযুক্তির ফল । একই পরিমাণ জায়গায় উন্নত ফলনশীল জাতের টমেটো উৎপাদন করায় মনিরের উপার্জন অনেকাংশে বেড়েছে ।

অর্থাৎ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কল্যাণে আসিফ ও মনিরের আর্থিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Accept !) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Check Now
Accept !