রাফেজ বা আঁশযুক্ত খাবার

Preparation BD
By -
0

এখন পর্যন্ত যে সকল খাদ্য উপাদান নিয়ে কথা বলা হয়েছে, তার বাইরেও আর একটি গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য উপাদান হচ্ছে রাফেজ বা আঁশযুক্ত খাবার।

রাফেজ প্রধানত উদ্ভিদ থেকে পাওয়া যায়। শস্যবীজ, ডাল, আলু, খােসসমেত টাটকা ফল এবং শাক-সবজি রাফেজের প্রধান উৎস। এগুলাে ছাড়াও শুকনা ফল, জিরা, ধনে, মটরশুটি প্রভৃতিতে বেশ ভালাে পরিমাণ রাফেজ পাওয়া যায়। এই খাবারগুলাের দীর্ঘ তন্তুময় অংশকে রাফেজ বলে।

রাফেজ মূলত সেলুলােজ দিয়ে তৈরি উদ্ভিদের কোষপ্রাচীর। রাফেজ আমাদের দেহে কোনাে পুষ্টি যােগায় না সত্যি কিন্তু কোষ্ঠকাঠিন্য, হৃদ্‌রােগ, ডায়াবেটিস ইত্যাদি রােগ প্রতিরােধ করতে সাহায্য করে।

তবে ঠিক কীভাবে এ রােগগুলাে প্রতিরােধ করে তা এখন পর্যন্ত সুস্পষ্টভাবে জানা যায়নি। রাফেজ সরাসরি খাদ্যনালির মধ্য দিয়ে পরিবাহিত হতে পারে। এটি খাদ্যনালির গায়ে কোনােরূপ পিণ্ড তৈরি করে না বলে রােগ প্রতিরােধ করতে পারে।

রাফেজভুক্ত খাবারের গুরুত্ব

  • এটি পরিপাকে সহায়তা করে। রাফেজ পানি শােষণ করে এবং মলের পরিমাণ বৃদ্ধি করে।
  • শরীর থেকে অপাচ্য খাদ্য নিষ্কাশনে সাহায্য করে।
  • এটি শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে সাহায্য করে।
  • বারবার ক্ষুধার প্রবণতা কমাতে এটি কাজ করে।
  • ধারণা করা হয়, রাফেজযুক্ত খাদ্য গ্রহণে পিত্তথলির রােগ, খাদ্যনালি ও মলাশয়ের ক্যান্সার, অর্শ, অ্যাপেন্ডিকস, হৃদ্‌রােগ ও স্থূলতা অনেকাংশে হ্রাস করে।

এ কারণে প্রতিদিন ২০-৩০ গ্রাম আঁশযুক্ত খাদ্য গ্রহণ করা উচিত। শাক-সবজি ও ফল থেকে এ পরিমাণ আঁশ পাওয়া সম্ভব।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Accept !) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Check Now
Accept !