জাতীয় অধ্যাপক বাংলাদেশের বিশেষ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা, যা বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক শিক্ষা, জ্ঞান-বিজ্ঞান ও গবেষণার জন্যে দেশের বিশিষ্ট পণ্ডিত, চিন্তাবিদ ও শিক্ষকদের দেয়া হয়। ১৯৭৫ সাল থেকে এ সম্মাননা দেয়া হচ্ছে। সাধারণত পাঁচ বছর মেয়াদের জন্য কোনাে বিশিষ্ট ব্যক্তি জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে নিয়ােগ পেয়ে থাকেন। তবে ক্ষেত্রবিশেষে মেয়াদ আরও দীর্ঘ হতে পারে। নীতিমালা অনুযায়ী জাতীয় অধ্যাপক পুনর্নিয়ােগ দেয়া যায়। জাতীয় অধ্যাপকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের মাধ্যমে সরকার নির্ধারিত হারে সম্মানী ভাতা পেয়ে থাকেন।
তারা কোনাে গবেষণা সংস্থা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে নিজের পছন্দ মতাে ক্ষেত্রে গবেষণামূলক। কাজ করতে পারেন। ৫ মে ২০২১ তিনজন শিক্ষাবিদকে আগামী পাঁচ বছরের জন্য জাতীয় অধ্যাপক নিয়ােগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নিয়ােগ পাওয়া জাতীয় অধ্যাপকরা। বাংলাদেশ জাতীয় অধ্যাপক (নিয়ােগ, শর্তাবলী ও সুবিধাদি) সিদ্ধান্তমালা, ১৯৮১ অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবেন এবং অন্যান্য সুযােগ পাবেন।
এই বিভাগ থেকে আরো পড়ুন
- বৈদ্যুতিক গাড়ির যুগে বাংলাদেশ
- বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে চুক্তি
- দেশের প্রথম স্পেশালাইজড হাসপাতাল
- কৃষকের সুরক্ষায় কিষানি ড্রোন
- দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কর্মপরিকল্পনা
- বাংলাদেশের নারী শিক্ষায় মালালা ফান্ড
- জাতীয় কৃষি কাউন্সিল গঠন
- ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য রপ্তানি শুরু
- বিশ্বে প্রথম দ্বৈত টিকার অনুমােদন
- যুক্তরাজ্যে নতুন বাণিজ্যনীতি
নতুন নিয়ােগপ্রাপ্ত তিনজন জাতীয় অধ্যাপক হলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ইমিরেটাস অধ্যাপক ড. আলমগীর মােহাম্মদ সিরাজুদ্দীন, ডায়াবেটিক এসােসিয়েশন অব বাংলাদেশের (বারডেম) প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান এবং বাংলাদেশ গ্যাস্ট্রোএনটারােলজি সােসাইটির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হাসান। নতুন নিয়ােগপ্রাপ্ত তিনজনকে নিয়ে বাংলাদেশে মােট জাতীয় অধ্যাপকের সংখ্যা হলাে ২৯ জন।