সারমর্ম ও সারাংশ লিখন: গদ্য বা পদ্য রচনার কোনাে না কোনাে অন্তর্নিহিত মূল ভাব থাকে। সহজ ও সাবলীল ভাষায় সংক্ষেপে তা লেখার নাম সারমর্ম বা সারাংশ। সাধারণত গদ্যের ভাব-সংক্ষেপণ বােঝাতে সারাংশ ও পদ্যের ভাবসংক্ষেপণ বােঝাতে সারমর্ম কথাটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
সারমর্ম/ সারাংশ লেখার ক্ষেত্রে নির্দেশনা
সারমর্ম কিংবা সারাংশ লেখার দক্ষতা অর্জন করতে হলে নিয়মিত অনুশীলন করতে হয়। চর্চা যত বেশি হয় ততই শিক্ষার্থীর পক্ষে রচনার মূল ভাববস্তু উপলব্বির ক্ষমতা ও রচনা-নৈপুণ্য বাড়ে। সারমর্ম/সারাংশ লেখার ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত দিকগুলাে বিশেষ বিবেচনায় রাখা দরকার :
১. পঠন: সারমর্ম বা সারাংশ লিখতে গেলে অনুচ্ছেদের তথ্য লিখলে চলে না, মূল ভাব বুঝে নিয়ে তাকে সংক্ষেপে প্রকাশ করতে হয়। তাই প্রথমেই মূল ভাব বােঝার জন্য রচনাটি ভালােভাবে মনােযােগ দিয়ে পড়া দরকার।
২. মূল ভাব সন্ধান ও গুরুত্বপূর্ণ অংশ চিহ্নিতকরণ : প্রদত্ত রচনাংশে সাধারণত একটি মূল ভাব বা বক্তব্য থাকে। কখনাে কখনাে একাধিক মূল ভাব বা বক্তব্যও থাকতে পারে। তা উপলব্ধি করতে পারলে সারমর্ম ও সারাংশ লেখা সহজ হয়। মূল ভাব খুঁজে নেওয়ার একটা ভালাে উপায় হচ্ছে, যেসব বাক্য বা বাক্যাংশ মূল ভাবের দ্যোতক বলে মনে হয় সেগুলাে চিহ্নিত করা।
৩. বাহুল্য বর্জন: অপ্রয়ােজনীয় অংশ থেকে প্রয়ােজনীয় অংশ আলাদা করার মাধ্যমে সহজে মূল ভাব বের করা যায়। এজন্যে মূল রচনাংশে ব্যবহৃত উদ্ধৃতি, বর্ণনা, সংলাপ, উদাহরণ, অলংকার (উপমা-রূপক) ইত্যাদি বাদ দিতে হয়।
৪. ভিতর প্রসঙ্গের অবতারণা না করা : সারমর্ম কিংবা সারাংশ অবশ্যই মূল রচনার ভাবধারণার মধ্যে সীমিত থাকে। তাই মূল ভাবের বাইরে অন্য কোনাে ব্যক্তিগত মতামত বা মন্তব্য সারমর্মে/সারাংশে প্রকাশ করা চলে না।
সারমর্ম/সারাংশ রচনার কৌশল
ক. অনুচ্ছেদ : সারমর্ম কিংবা সারাংশ একটি অনুচ্ছেদে লেখা উচিত।
খ. প্রারম্ভিক বাক্য : প্রারম্ভিক বাক্য যথাসম্ভব সংহত ও আকর্ষণীয় হওয়া চাই। এতে পাঠক বা পরীক্ষক শুরুতেই চমকৃত হন।
গ. প্ৰসজ বাক্য : প্রসঙ্গ বাক্য (মূল ভাবটুকু প্রকাশের চুম্বক বাক্য) সারমর্ম/সারাংশের প্রথমে থাকলে | ভালাে। তা প্রয়ােজনে মধ্যে কিংবা শেষেও থাকতে পারে।
ঘ. প্রত্যক্ষ উক্তি:মূলে প্রত্যক্ষ উক্তি থাকলে তা পরােক্ষ উক্তিতে সংক্ষেপে প্রকাশ করতে হয়।
ঙ. পুরুষ : সারমর্মে/সারাংশে উত্তম পুরুষে (আমি, আমরা) বা মধ্যম পুরুষে (তুমি, তােমরা) লেখা চলে না। | বক্তব্য বিষয় যথাসম্ভব নৈর্ব্যক্তিকভাবে লিখতে হয়।
চ. উদ্ধৃতি : মূলে কোনাে উদ্ধৃতাংশ থাকলে সারমর্মে উদ্ধৃতিচিহ্ন বর্জিত হবে এবং সংক্ষিপ্ত ও সংহতরূপে তা প্রকাশ করতে হবে।
ছ. ভাষা : সারমর্ম ও সারাংশের ভাষা সরল ও সাবলীল হওয়া দরকার। তাই জটিল বাক্যের পরিবর্তে সরল বাক্য এবং দুরূহ শব্দের পরিবর্তে সহজ-সরল শব্দ ব্যবহার করা উচিত।
জ. তুবহু উদ্ধৃতি বা অনুকৃতি : মূলের কোনাে অংশের তুবহু উদ্ধৃতি বা অনুকৃতি সারমর্ম/সারাংশে গ্রহণীয় নয়। মূলের কোনাে অংশকে সামান্য অদল-বদল করে লিখে দেওয়াও অনুচিত।
ঝ. পরিসর : সারমর্ম/সারাংশ কত বড় বা ছােট হবে তা নির্ভর করে প্রদত্ত অংশে বর্ণিত বিষয়ের গুরুত্ব ও গভীরতার ওপর। প্রদত্ত রচনার ভাববস্তু সুসংহত ও নিরেটভাবে প্রকাশিত হলে তা সংক্ষেপ করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। ফলে সারমর্ম/সারাংশ মূলের সমান, অর্ধেক, এক-তৃতীয়াংশ বা তার কমও হতে পারে।
ঞ. খসড়া : সারমর্ম কিংবা সারাংশ লেখার সময়ে প্রথমে প্রদত্ত রচনার মূল ভাবটুকুর আলােকে একটি প্রাথমিক খসড়া দাঁড় করানাে ভালাে। তারপর প্রয়ােজনমতাে পরিমার্জনা করে পুনর্লিখন করে নিতে হয়।
সারমর্ম/সারাংশের নমুনা
কোথায় স্বর্গ, কোথায় নরক, কে বলে তা বহুদূর?
মানুষের মাঝে স্বর্গ-নরক, মানুষেতে সুরাসুর।।
রিপুর তাড়নে যখনি মােদের বিবেক পায় গাে লয়,
আত্মগ্লানির নরক-অনলে তখনি পুড়িতে হয়।
প্রীতি ও প্রেমের পুণ্য বাঁধনে যবে মিলি পরস্পরে,
স্বর্গ আসিয়া দাঁড়ায় তখন আমাদেরি কুঁড়েঘরে।
সারমর্ম: স্বর্গ ও নরক কেবল সুদূর পরলােকের ব্যাপার নয়। ইহলােকেও এদের অস্তিত্ব রয়েছে। বিবেকহীন মানুষের অপকর্ম ও নিষ্ঠুরতার বিস্তার ঘটলে জগৎ হয়ে ওঠে নরকতুল্য। আর মানুষে মানুষে সম্প্রীতিময় সম্পর্ক গড়ে উঠলে জগৎ হয়ে ওঠে স্বর্গীয় সুষমাময়।
তরুতলে বসে পান্থ শ্রান্তি করে দূর,
ফল আস্বাদনে পায় আনন্দ প্রচুর।
বিদায়ের কালে হাতে ডাল ভেঙে লয়,
তরু তবু অকাতর কিছু নাহি কয়।
দুর্লভ মানবজন্ম পেয়েছ যখন,
তরুর আদর্শ কর জীবনে গ্রহণ।
পরার্থে আপন সুখ দিয়ে বিসর্জন,
তুমিও হও গাে ধন্য তরুর মতােন।
সারমর্ম : গাছপালা ছায়া দিয়ে, ফল দিয়ে, শাখা দিয়ে মানুষের উপকার করে। পরের সেবা করেই বৃক্ষের জীবন ধন্য। মানুষেরও উচিত বৃক্ষের পরােপকারের আদর্শকে জীবনে অনুসরণ করা। তাহলেই মানবজীবন ধন্য ও সার্থক হবে।
কে তুমি খুঁজিছ জগদীশে ভাই আকাশ-পাতাল জুড়ে
কে তুমি ফিরিছ বনে-জঙ্গলে, কে তুমি পাহাড়-চূড়ে?
হায় ঋষি দরবেশ,
বুকের মানিক বুকে ধরে তুমি খোজো তারে দেশ-দেশ,
সৃষ্টি রয়েছে তােমা পানে চেয়ে, তুমি আছ চোখ বুজে,
স্রষ্টার খোঁজে আপনারে তুমি আপনি ফিরিছ খুঁজে।
ইচ্ছা অন্ধ।
আঁখি খােলাে, দেখ দর্পণে নিজ কায়া,
সকলের মাঝে প্রকাশ তাঁহার, সকলের মাঝে তিনি,
আমারে দেখিয়া আমার অজানা জন্মদাতারে চিনি।
সারমর্ম : সমস্ত সৃষ্টির মধ্যেই সৃষ্টিকর্তার অবস্থান। নিজেকে চিনে সৃষ্টির সেবাতে আত্মনিয়ােগ করে স্রষ্টাকে উপলব্ধি করা যায়। বৈরাগ্য সাধনা করে তাকে পাওয়া যায় না।
বিপদে মােরে রক্ষা করাে,
এ নহে মাের প্রার্থনা বিপদে আমি না যেন করি ভয়।
দুঃখতাপে-ব্যথিত চিতে
নাই-বা দিলে সান্ত্বনা, দুঃখ যেন করিতে পারি জয়।
সহায় মাের না যদি জুটে
নিজের বল না যেন টুটে সংসারেতে ঘটিলে ক্ষতি,
লভিলে শুধু বঞ্চনা, নিজের মনে না যেন মানি ক্ষয়।
আমারে তুমি করিবে ত্রাণ,
এ নহে মাের প্রার্থনা তরিতে পারি শকতি যেন রয়।
আমার ভার লাঘব করি
নাই-বা দিলে সান্ত্বনা, বহিতে পারি এমনি যেন হয়।
সারমর্ম : দুঃখ-বিপদ উত্তরণে মানুষের প্রধান অবলম্বন মানসিক দৃঢ়তা। অন্যের করুণা-নির্ভর না হয়ে আত্মশক্তি ও সংগ্রামী চেতনার বলেই মানুষ দুঃখ-কষ্ট, বিপদ-বঞ্চনা মােকাবেলা করতে পারে। আত্মশক্তির বলেই জীবনে প্রতিষ্ঠা অর্জন করতে হয়।
আসিতেছে শুভদিন। দিনে দিনে বহু বাড়িয়াছে দেনা,
শুধিতে হইবে ঋণ! হাতুড়ি শাবল গাঁইতি চালায়ে ভাঙিল যারা পাহাড়,
পাহাড়-কাটা সে পথের দুপাশে পড়িয়া যাদের হাড়,
তােমারে সেবিতে হইল যাহারা মজুর, মুটে ও কুলি,
তােমারে সেবিতে যারা পবিত্র অঙ্গে লাগাল ধূলি;
তারাই মানুষ, তারাই দেবতা গাহি তাহাদেরি গান,
তাদেরি ব্যথিত বক্ষে পা ফেলে আসে নব উত্থান।
সারমর্ম : শ্রমজীবী মানুষের কঠোর শ্রমে ও অপরিসীম ত্যাগে গড়ে উঠেছে মানবসভ্যতা। এদিক থেকে শ্রমজীবীরাই সত্যিকারের মহৎ মানুষ। কিন্তু সমাজজীবনে এরা বঞ্চিত, শােষিত ও উপেক্ষিত। এখন দিন এসেছে। শ্রমজীবী মানুষেরাই একদিন নবজাগরণের মধ্য দিয়ে বিশ্বে পালাবদলের সূচনা করবে।
পরের মখে শেখা বলি পাখির মতাে কেন বলিস?
পরের ভঙ্গি নকল করে নটের মতাে কেন চলিস?
তাের নিজত্ব সর্বাঙ্গে তাের দিলেন দাতা আপন হাতে,
মছে সেটক বাজে হলি, গৌরব কি বাড়ল তাতে?
আপনারে যে ভেঙে চুরে গড়তে চায় পরের ছাঁচে,
অলীক, ফাকি, মেকি সে জন নামটা তার কদিন বাঁচে?
পরের চুরি ছেড়ে দিয়ে আপন মাঝে ডুবে যারে,
খাঁটি ধন যা সেথায় পাবি, আর কোথাও পাবি নারে।
সারমর্ম : অন্ধ পরানুকরণ মানুষের জন্যে মর্যাদাকর নয়। কারণ, তা তার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলির সৃজনশীল বিকাশের সম্ভাবনা নষ্ট করে দেয়। বস্তুত, স্বকীয় বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলি প্রকাশের মাধ্যমেই মানুষ সত্যিকারের মর্যাদা অর্জন করতে পারে।
পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি
এ জীবন মন সকলি দাও,
তার মতাে সুখ কোথাও কি আছে
আপনার কথা ভুলিয়া যাও।
পরের কারণে মরণেও সুখ,
‘সুখ-সুখ’ করি কেঁদো না আর;
যতই কাঁদিবে যতই ভাবিবে,
ততই বাড়িবে হূদয়-ভার।
আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে
আসে নাই কেহ অবনী
পরে সকলের তরে সকলে আমরা
প্রত্যেকে আমরা পরের তরে।
সারমর্ম : আত্মস্বার্থে বিভাের না হয়ে পরের কল্যাণে জীবন উৎসর্গ করলে প্রকৃত সুখ মেলে। বস্তুত, মানবজীবন ব্যক্তিস্বার্থকেন্দ্রিক নয়; একে অন্যের কল্যাণে ব্রতী হওয়াই মনুষ্যত্বের বৈশিষ্ট্য।
দৈন্য যদি আসে, আসুক,
লজ্জা কি বা তাহে, মাথা উঁচু রাখিস।
সুখের সাথী মুখের পানে যদি নাহি চাহে,
ধৈর্য ধরে থাকিস।
রুদ্র রূপে তীব্র দুঃখ যদি আসে নেমে,
বুক ফুলিয়ে দাঁড়াস,
আকাশ যদি বজ্র নিয়ে মাথায় ভেঙে পড়ে
ঊর্ধ্বে দু হাত বাড়াস।
সারমর্ম : ধৈর্য ও সাহস নিয়ে মানুষকে জীবনের ঘাত-প্রতিঘাতময় পথ অক্রিম করতে হয়। দুঃখ-দৈন্যের সঙ্গে লড়াই না করে এবং বিপদকে মােকাবেলা না করে জীবনে সাফল্য অর্জিত হয় না।
সবারে বাস রে ভালাে
নইলে মনের কালাে মুছবে না রে!
আজ তাের যাহা ভালাে
ফুলের মতাে দে সবারে।
করি তুই আপন আপন,
হারালি যা ছিল আপন
বিলিয়ে দে তুই যারে তারে।
যারে তুই ভাবিস ফণী
তারাে মাথায় আছে মণি
বাজা তাের প্রেমের বাঁশি
ভবের বনে ভয় বা কারে?
সবাই যে তাের মায়ের ছেলে
রাখবি কারে, কারে ফেলে?
একই নায়ে সকল ভায়ে
যেতে হবে রে ওপারে।
সারমর্ম : কেবল নিজেকে নিয়ে বিভাের থাকলে, অন্যকে দূরে ঠেললে মানুষ হয়ে পড়ে নিঃসঙ্গ। জীবনকে সার্থক ও মহীয়ান করতে হলে মানুষ মানুষে চাই প্রীতি ও প্রেমের মেলবন্ধন।
ধন্য আশা কুহকিনী! তােমার মায়ায়
অসার সংসার চক্র ঘােরে নিরবধি;
দাঁড়াইত স্থিরভাবে চলিত না, হায়
মন্ত্রবলে তুমি চক্র, না ঘুরাতে যদি।
ভবিষ্যৎ অন্ধ মূঢ় মানব সকল।
ঘুরিতেছে কর্মক্ষেত্রে বর্তুল-আকার;
তব ইন্দ্রজালে মুগ্ধ, পেয়ে তব বল
যুঝিছে জীবনযুদ্ধে হায় অনিবার।
নাচায় পুতুল যেমন দক্ষ বাজিকরে,
নাচাও তেমনি তুমি অর্বাচীন নরে।
সারমর্ম : আশাই মানুষের জীবন-সংগ্রামের প্রণােদনা। আশাহীন জীবন হয়ে পড়ে স্থবির ও নিশ্চল। আশার জাদুতেই মানুষ জীবনে নানা সংকট ও প্রতিকূলতা মােকাবেলা করে; মঙ্গল ও সমৃদ্ধির আশায় কাজ করে যায় সারা জীবন।
“বসুমতী, কেন তুমি এতই কৃপণা?
কত খোঁড়াখুঁড়ি করি পাই শস্যকণা।
দিতে যদি হয় দে মা, প্রসন্ন সহাস কেন
এ মাথার ঘাম পায়েতে বহাস?”
শুনিয়া ঈষৎ হাসি কন বসুমতী,
“আমার গৌরব তাতে সামান্যই বাড়ে;
তােমার গৌরব তাহে একেবারেই ছাড়ে।”
সারমর্ম : ধরণীর শস্যসম্পদ অনায়াসলভ্য নয়। তাই মানুষের শক্তি, সামর্থ্য ও শ্রমের এত মূল্য। অন্যের করুণা-নির্ভরতায় মানুষ মর্যাদা পায় না। পরিশ্রমই মানুষের অস্তিত্বের অবলম্বন এবং মর্যাদার কষ্টিপাথর।
নিন্দুকেরে বাসি আমি সবার চেয়ে ভালাে,
যুগ জনমের বন্ধু আমার, আঁধার ঘরের আলাে।
সবাই মােরে ছাড়তে পারে বন্ধু যারা আছে,
নিন্দুক সে ছায়ার মতাে থাকবে পাছে পাছে।
বিশ্বজনে নিঃস্ব করে পবিত্রতা আনে,
সাধকজনে বিস্তারিত তার মতাে কে জানে?
বিনা মূল্যে ময়লা ধুয়ে করে পরিষ্কার,
বিশ্বমাঝে এমন দয়াল মিলবে কোথা আর?
নিন্দুক সে বেঁচে থাকুক বিশ্বহিতের তরে,
আমার আশা পূর্ণ হবে তাহার কৃপাভরে।
সারমর্ম : নিন্দুকের করা সমালােচনা আমাদের সবার জন্য মঙ্গলজনক। এতে আমরা আমাদের ত্রুটি ও সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে জানতে পারি। নিন্দুক সমালােচনার মাধ্যমে ত্রুটি নির্দেশ করে পরােক্ষভাবে ব্যক্তি ও সমাজের উপকার করে থাকে।